নেত্রকোনার পূর্বধলায় পারিবারিক বিরোধেরে জেরে ডাকা শালিস বৈঠকে ৬৫ বছর বয়সী হাফেজ নুরুল ইসলাম নামের বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের (ভারপ্রাপ্ত) ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মাথায় একটু ফোলা দেখা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
তবে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনার পুর্বধলা উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বড়বিয়া গ্রামের হাফেজ নুরুল ইসলাম ও তার সৎ ভাই সুলতান এবং সেলায়মানের সাথে বিরোধ হয় গত এক মাস পূর্বে। এ নিয়ে পূর্বধলা থানার বড়রিয়া আফিল উদ্দিনের বাড়ির ওঠোনে পারিবারিক ঝগড়াঝাটিকে কেন্দ্র করে শালিস বৈঠক বসে। এক পর্যায়ে হাফেজ নুরুল ইসলামের ভাইয়েরা বাশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে নুরুল ইসলামের মাথার মধ্যাংশে ফোলা এবং পিঠে আঘাতের কালো দাগ পরিলক্ষিত হয়। পরে স্বজনরা তাৎক্ষণিক শ্যামগঞ্জ বাজারে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পূর্বধলা থানার ওসি মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধের বাড়িতে গত এক মাস পূর্বে শিশুদের নিয়ে একটি বিরোধ হয়েছিলো সৎ ভাই সুলতানদের সাথে। এর জেরে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মীমাংসা করতে তিনি শনিবার বিকালে সাবেক চেয়ারম্যানকে নিয়ে শালিস বৈঠক ডাকেন। এসময় বৈঠক শুরুর আগেই হাফেজ নুরুল ইসলাম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ছেলেরা শ্যামগঞ্জ একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু হয়। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। হয়তো উত্তেজনার বসে স্ট্রোক করে থাকতে পারে। আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায় নি।