গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনীতিকদের লাগাতার প্রচেষ্টা ও অবনতি হতে থাকা মানবিক সংকটের মধ্যে বৃহস্পতিবার ঐ শহরের দিকে এগিয়ে যায় ইসরাইলি সেনা বাহিনী।
ইসরাইল ও হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান যুদ্ধে বুধবার “মানবিক কারণে স্থগিতাদেশে”র আবেদন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, “বিরতির অর্থ হল বন্দিদের বের করে আনার জন্য সময় দেওয়া। সময় দিন।”
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
৭ অক্টোবর ইসরাইলের উপর হামলার সময় ২৪০ জনের বেশি ইসরাইলিকে পণবন্দি করেছে হামাস। ইসরাইল জানিয়েছে, ওই হামলায় ১৪০০ জন মানুষ নিহত হয়েছে। এই হামলার পর ইসরাইল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং গাজা ভূ-খণ্ডে অবিরাম বোমাবর্ষণের ফলে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস পরিচালিত ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা ভূ-খণ্ডে আটকে পড়া বিদেশি নাগরিকদের প্রথম দল অবরুদ্ধ অঞ্চল ছেড়ে মিশরের উদ্দেশে বুধবার রওনা হয়। এদের অনেকে বৃহস্পতিবার এই স্থান পরিত্যাগ করেছে।
কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরাইল, মিশর ও হামাসের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির অংশ হিসেবে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খুলে দেওয়া হচ্ছে, বিদেশি পাসপোর্টধারীরা যাতে এই যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পারেন। অন্তত ৪০০ জন বিদেশি নাগরিককে সীমান্ত পেরিয়ে মিশরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
বিদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি প্রায় ৮১ জন আহত ফিলিস্তিনিকে মিশরীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই রোগীরাই প্রথম ফিলিস্তিনি যারা গাজার বাইরে বেরোনোর অনুমতি পেল।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিয় গুত্তেরেস ২৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজাতে ইসরাইলের অবরোধ 'আন্তর্জাতিক মানবতা আইনের স্পষ্ট লংঘন'।