ময়মনসিংহের ভালুকায় এক ভূঁইফোর এনজিওর বিরুদ্ধে গ্রাহকের ৮ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের নিশিন্দা গ্রামে ফালু শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকতো ওই প্রতারক চক্রটি। প্রতারক চক্রের চার সদস্য হলো যাথাক্রমে ত্রিশাল উপজেলার কানর গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে হাসান মিয়া, তার স্ত্রী মোছাঃ রুনা, একই উপজেলার আইলদা গ্রামের শাহজাহান মিয়া ও তার স্ত্রী মোছা: লিপি। ওখানে বসবাস করেই তারা একটি সমিতি থেকে মোটা অংকের টাকা লোন করা যাবে বলে সঞ্চয় বাবদ টাকা জমাতে বলে স্থানীয়দের। পরে মোটা অংকের টাকা লোনের আশায় জামিনা খাতুন, মলিনা খাতুন, নুরজাহান, ববিতা, মুর্শিদা খাতুন, শরিফা আক্তার, নাসিমা আক্তার ও জুসনা আক্তার গংরা সঞ্চয় বাবদ টাকা জমা দিতে থাকে। পরে সবার সঞ্চয় বাবদ ৮ লাখ টাকা জমা হতেই প্রতারক চক্রটি উধাও হয়ে যায়। এঘটনায় আইনাল হক বাদী হয়ে ভরাডোবা ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম তরফদার বলেন, প্রতারক হাসান মিয়া, মোছাঃ রুনা, লিপি ও শাহজাহান মিয়াকে খোঁজা হচ্ছে তাদেরকে পাওয়া গেলে টাকা উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী মোছাঃ শরিফা আক্তার বলেন, আমি সারা জীবন গার্মেন্টসে চাকরি করে ৪ লাখ টাকা জমিয়েছিলাম। কিন্তু এই প্রতারক চক্র ফাঁদে ফেলে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এখন আর আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই।