অন্ধত্ব বা দৃষ্টি শক্তিহীন মানুষের দুনিয়ার একটি রং কালো। কালোর সেই অন্ধকার পেছনে ফেলে পবিত্র কোরআনের আলোয় নিজেকে আলোকিত করেছেন হাফেজ মনজরুল ইসলাম। অন্ধত্বকে পরাজিত করে প্রচণ্ড ইচ্ছেশক্তির ডানায় ভর করে ব্রেইল পদ্ধতিতে কোরআনের হাফেজ হয়েছেন তিনি।
হাফেজ মো: মনজুরুল ইসলাম পলাশ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের আব্দুল কালামের ছেলে। বতর্মানে মনজুরুল ও তার পরিবার ভালুকা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় বসবাস করেন। পরিবারে চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মনজুরুল একজন।
মনজুরুলের বাবা-মা জন্মের আগে থেকেই তাকে নিয়ে এই স্বপ্ন দেখতেন যে, ছেলে অনেক বড় হবেন। কিন্তু জন্মের পর ছেলের এমন পরিস্থিতিতেও তার প্রতিপালনে কোন ত্রুটি করেননি; তাকে মাদরাসায় নিয়ে আসেন এবং কোরআনের হাফেজ হওয়ার জন্য নিজ সন্তানকে সপে দেন একজন যোগ্য শিক্ষকের হাতে।
মনজুরুল ঢাকার কামরাঙিরচর তালিমুল কোরআন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ে ব্রেইল পদ্ধতির মাধ্যমে কুরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছেন।
মনজুরুল বলেন, আল্লাহ তায়ালা আমাকে কোরআন শরিফ পড়ার ও হিফজ করার তৌফিক দান করেছেন। চোখ নেই তবুও কোরআন শিখতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।