আগে যা হয়নি কখনও, এবার তা করার লক্ষ্যেই বাংলাদেশ পা রেখেছে স্বপ্নের বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। অনুমিতভাবেই এবারের লক্ষ্যটা শেষ চার। তবে আপাতত সেই সেমিফাইনালের স্বপ্নটাকে যেন বাক্সবন্দী করে রাখতে চাইছে টাইগাররা।
কারণটা সহজেই অনুমেয়। আফগানিস্তানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ নিজেরা উরে গেছে ইংল্যান্ডের সামনে। এতে চাপ বেড়েছে, কমেছে রান রেট। সব মিলে সময়টা তেমন পক্ষে নেই। নিউজিল্যান্ডের মতো বড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামার আগে তাই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা হচ্ছে শেষ চারে ওঠার ভাবনা।
কিউই-বধের লক্ষ্যে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘প্রত্যেক ম্যাচ জেতাই জরুরি, সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় না এখনই সেমিফাইনাল নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করা উচিৎ। আমরা একটা একটা করে ম্যাচ যেতে চাই। কাল যদি ভালোভাবে শেষ করি তাহলে লক্ষ্যের দিকে ভালোভাবে এগোতে পারব।’
ফলাফল সবসময় পক্ষে আসবে না, সহ-অধিনায়ক সে কথা মনে করিয়ে দিতে ভুলেননি। সাথে এ-ও বললেন, চেন্নাইয়ের স্পিন বান্ধব উইকেটে বাংলাদেশের স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেলে তা কিউইদের ফেলতে পারে বিপাকে। তবে শেষপর্যন্ত সাফল্যের রহস্য লুকিয়ে আছে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে।
শান্তর ভাষায়, ‘এমন না ৯ ম্যাচই আমরা জিতব। হার-জিত থাকবে। এখান থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি এটা নিয়েই কথা হয়েছে। ইংল্যান্ডের কাছে নিয়ে বেশি ভাবছি না। কাল আমরা ভালো খেলতে চাই। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ আমরা দেখেছি, উইকেটে স্পিন ধরছিল। এমন উইকেট পেলে আমাদের স্পিনারদের সহায়তা হবে। তবে আমরা উইকেট নিয়ে এত ভাবছি না। আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।’